কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া স্বামী-স্ত্রী যদি পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তাকে বন্ধ্যত্ব (ইনফার্টিলিটি) বলা হয়।

 

বন্ধ্যত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি— যাদের কখনো সন্তান হয়নি। সেকেন্ডারি— যাদের আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না।

কারণ
হরমোনের কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা যৌনবাহিত রোগের জন্য মেয়েদের প্রজননের ক্ষতি হয়।
ওভারিয়ান চকোলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণেও হতে পারে।

বয়স, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত প্রভাব, ক্যানসারসহ নানা কারণে ডিম্বাণুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়া—এসব কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে।

লক্ষণ
গর্ভধারণ না হওয়া বন্ধ্যত্বের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত অন্য কোনো সুস্পষ্ট উপসর্গ না থাকলেও নারীদের অনিয়মিত বা মাসিক না হতে পারে।

মাসিক না হওয়ার কারণ
যদি ডিম্বাশয় থেকে পরিপক্ব ডিম্বাণু না হয়
বয়স বেশি বেড়ে গেলে
ধূমপান অ্যালকোহল
অতিরিক্ত ওজন
যৌনবাহিত সংক্রমণ
জরায়ুতে টিউমার
ইত্যাদি কারণে অথবা কোনো কেমোথেরাপি নিয়েছেন অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধের কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।

পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ
ওজন বেড়ে গেলে
অ্যালকোহল বিভিন্ন ধরনের ভারি ধাতু বায়ুদূষণের এক্সপোজার
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপে কাজ করলেও হতে পারে
রোগ নির্ণয় করার জন্য পরীক্ষা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের টেস্টগুলো, ব্লাড সুগার, সঙ্গে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে কোনো ধরনের সমস্যা আছে কিনা দেখা।
পুরুষদের জন্য সিমেন অ্যানালাইসিস করে শুক্রাণু কার্যকর ঠিক আছে কিনা বা সংখ্যা আকার-প্রকৃতি সব দেখা হয়
প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর দুজনকে একসঙ্গে বসে কাউন্সেলিং করতে হবে। কিছু কিছু চিকিৎসা দরকার পড়ে কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি করতে হতে পারে।

প্রতিরোধ
সবাইকে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। অ্যালকোহল তামাক এগুলো পরিহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাসে বেশি করে তুলতে হবে নিজেকে।

লেখক: সহকারী পরিচালক, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।